গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
- আপডেট সময় : ০১:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৫৭৫ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা সিটির প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়ার দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘আমাদের সৈন্যরা এখন গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে।’ স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীর সমন্বয়ে ইসরায়েলি সেনারা অভিযান চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের এক মাস পূর্তি হয়েছে। এক মাস পূর্তির দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও গাজা সিটির অভ্যন্তরে ইসরায়েলের সেনাদের ঢুকে পড়ার খবর দেন। তিনি বলেন, আমাদের সেনারা গাজার ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং অভিযান চালাচ্ছে। এ সময় তিনি গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণের দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে গত সোমবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষে গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল।
তবে ইসরায়েলের কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার নেতানিয়াহুর মন্তব্য ব্যখ্যা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন যে, গাজা উপত্যকাটি একটি নিরস্ত্রীকরণ এলাকা হিসেবে থাকবে এবং ইসরায়েলের সেনারা সেখানে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকবে যাতে নতুন করে সন্ত্রাসীরা হুমকি তৈরি করতে না পারে। গাজা পুনর্দখল কিংবা শাসন করান ইচ্ছা নেই ইসরায়েলের।
এদিকে আমেরিকার রারাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৪০০ জনেরও বেশি মার্কিন নাগরিক গাজা ছেড়ে মিসরে চলে গেছে। এর আগে বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস, রাফাহ এবং দেইর আল-বালাহ শহরে ইসরায়েরের বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩১ দিনের যুদ্ধে গাজায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিন্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু নিহত হয়েছে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া হামাসের কাছে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে মৃত্যু ও দুর্ভোগের মাত্রা কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে শতাধিক হামলা হয়েছে।