ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতার দাবী

গাইবান্ধায় ৩শ’ বিঘা ফসলের জমি পানির নীচে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫০০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// গাইবান্ধা সংবাদদাতা //

গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের রেজিয়া বাজার ও মাস্টারের বিল এলাকায় আমন চাষাবাদের ৩’শতাধিক কৃষকের  ৩শ’ বিঘা ফসলের জমি বন্যার পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো জমির চারাগাছ দু-একটি বেঁচে থাকলেও তা এখন পুড়ে যাচ্ছে প্রখর রোদে।

গিদারী ইউনিয়নের রেজিয়া বাজার ও মাস্টারের বিল এলাকায় একটি জমিতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অন্য জমি থেকে পানি এনে আমনখেত বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন গৃহিনী লাকী খাতুন। পাশেই আবার কোনো জমিতে নতুন করে দ্বিতীয় দফায় চারা রোপণ করা হচ্ছে। খেত পুরোপুরি নষ্ট হওয়া কিছু জমি আবার অনাবাদীই পড়ে আছে। এমন চিত্র পুরো বিল জুড়েই।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, রোপণের ১৫ দিনের মধ্যেই পানিতে ডুবে এসব খেত নষ্ট হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর স্বচ্ছল কৃষকরা আবারও নতুন করে হাল দিয়ে চারা কিনে ওই পানিতেই রোপণ করলেও বেশিরভাগ জমি এখন পানি শূন্যতায় রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে। তবে এখনও কিছু খেতে জলাবদ্ধতা রয়েছে।

তাদের অভিযোগ, এই এলাকার প্রায় ৩শ’ বিঘা জমির খেত নষ্ট হলো। অথচ কৃষি বিভাগের কেউই একদিনও খোঁজ নেয়নি। পরামর্শ কিংবা সহযোগিতার কথাও জানাইনি। তাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে ধার-দেনা করে কৃষকরা আবাদ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঠিক তালিকা করে কৃষি প্রণোদনাসহ আর্থিক সহযোগীতার প্রয়োজন।

বা/খ: এসআর।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতার দাবী

গাইবান্ধায় ৩শ’ বিঘা ফসলের জমি পানির নীচে

আপডেট সময় : ০১:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

// গাইবান্ধা সংবাদদাতা //

গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের রেজিয়া বাজার ও মাস্টারের বিল এলাকায় আমন চাষাবাদের ৩’শতাধিক কৃষকের  ৩শ’ বিঘা ফসলের জমি বন্যার পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো জমির চারাগাছ দু-একটি বেঁচে থাকলেও তা এখন পুড়ে যাচ্ছে প্রখর রোদে।

গিদারী ইউনিয়নের রেজিয়া বাজার ও মাস্টারের বিল এলাকায় একটি জমিতে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অন্য জমি থেকে পানি এনে আমনখেত বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন গৃহিনী লাকী খাতুন। পাশেই আবার কোনো জমিতে নতুন করে দ্বিতীয় দফায় চারা রোপণ করা হচ্ছে। খেত পুরোপুরি নষ্ট হওয়া কিছু জমি আবার অনাবাদীই পড়ে আছে। এমন চিত্র পুরো বিল জুড়েই।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, রোপণের ১৫ দিনের মধ্যেই পানিতে ডুবে এসব খেত নষ্ট হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর স্বচ্ছল কৃষকরা আবারও নতুন করে হাল দিয়ে চারা কিনে ওই পানিতেই রোপণ করলেও বেশিরভাগ জমি এখন পানি শূন্যতায় রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে। তবে এখনও কিছু খেতে জলাবদ্ধতা রয়েছে।

তাদের অভিযোগ, এই এলাকার প্রায় ৩শ’ বিঘা জমির খেত নষ্ট হলো। অথচ কৃষি বিভাগের কেউই একদিনও খোঁজ নেয়নি। পরামর্শ কিংবা সহযোগিতার কথাও জানাইনি। তাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে ধার-দেনা করে কৃষকরা আবাদ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঠিক তালিকা করে কৃষি প্রণোদনাসহ আর্থিক সহযোগীতার প্রয়োজন।

বা/খ: এসআর।