ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত একটি জাতিসংঘ সন্ধিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার (২০শে সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) ট্রিটি সই করেন প্রধানমন্ত্রী।

চুক্তিপত্রে যারা সই করবে ও অনুস্বাক্ষর করবে তাদেরকে গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই সন্ধিপত্র অনুযায়ী মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে, অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না, পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে, সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।

ফলে এর মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের স্ষ্ঠুু সংরক্ষণ ও আহরণে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি সেটি আরও দৃঢ় হলো।

জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, যেকোনও দেশের উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র সীমানা রয়েছে তার ওপর সার্বভৌম অধিকার রয়েছে ওই দেশের।

এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সবকিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সেটির মালিক ওই দেশ।

নতুন সন্ধিপত্র অনুসারে, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ যা মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস নামে পরিচিত তা অন্য কোনও দেশ বা কোম্পানি আহরণ করলে সেটির একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের রয়েছে সেই দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৪২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত একটি জাতিসংঘ সন্ধিপত্রে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার (২০শে সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) ট্রিটি সই করেন প্রধানমন্ত্রী।

চুক্তিপত্রে যারা সই করবে ও অনুস্বাক্ষর করবে তাদেরকে গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই সন্ধিপত্র অনুযায়ী মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে, অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না, পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে, সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।

ফলে এর মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের স্ষ্ঠুু সংরক্ষণ ও আহরণে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি সেটি আরও দৃঢ় হলো।

জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, যেকোনও দেশের উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র সীমানা রয়েছে তার ওপর সার্বভৌম অধিকার রয়েছে ওই দেশের।

এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সবকিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সেটির মালিক ওই দেশ।

নতুন সন্ধিপত্র অনুসারে, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ যা মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস নামে পরিচিত তা অন্য কোনও দেশ বা কোম্পানি আহরণ করলে সেটির একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের রয়েছে সেই দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দিতে হবে।