ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনও পাইনি: আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। তবে নতুন করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আবেদন এখনও পায়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ প্রশাসন ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সরকারি মামলার ট্র্যাকিং সিস্টেম ‘সলট্র্যাক’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো হাতে পাইনি। পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার মুক্তির মেয়াদকাল আগামী ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে। গতবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল খালেদা জিয়ার পরিবার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাবরণ শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় ৪ বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। মাঝে অনেকদিন নানা শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও শুরু থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবে এখনো তার জামিন মেলেনি।

এ দিন রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলার বর্তমান অবস্থা জানার ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাকের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এবং সরকারি সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৩৫৩টি অধিদফতর, ৮ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব সরকারি দফতর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার অবস্থা জানা যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনও পাইনি: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। তবে নতুন করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আবেদন এখনও পায়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ প্রশাসন ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সরকারি মামলার ট্র্যাকিং সিস্টেম ‘সলট্র্যাক’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এখনো হাতে পাইনি। পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার মুক্তির মেয়াদকাল আগামী ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে। গতবার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল খালেদা জিয়ার পরিবার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাবরণ শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।

সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় ৪ বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। মাঝে অনেকদিন নানা শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। যদিও শুরু থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তবে এখনো তার জামিন মেলেনি।

এ দিন রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সরকারি মামলার বর্তমান অবস্থা জানার ট্র্যাকিং সিস্টেম সলট্র্যাকের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এবং সরকারি সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৩৫৩টি অধিদফতর, ৮ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব সরকারি দফতর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার অবস্থা জানা যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।