ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কোরবানি ঈদে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩
  • / ৪৮৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি ঈদে এবার লেনদেন হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। সারা বছর মাংসের চাহিদা মিটছে স্থানীয়ভাবে। পশুপালনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রান্তিক মানুষের জন্য কোরবানির ঈদের যেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে, তেমনি বাড়তি লেনদেন জিডিপিতেও রাখছে ইতিবাচক প্রভাব।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশে এবার গরু, মহিষ, ছাগলসহ প্রায় সোয়া এক কোটি পশু পালন করা হয়। বছরজুড়ে এসব পশুর যত্নে ব্যস্ত থাকেন খামারীরা। অনেকে খামার থেকেই ভালো দামে বিক্রি করেছেন গরু।

রাজশাহীর এক উদ্যোক্তা বলেন, ‘এ বছর আমরা ৯টি গরু বিক্রি করেছি। সবুজ ঘাস আর বিভিন্ন দানা তৈরি করে তারপর খাওয়াই। এজন্য উৎপাদনের খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালোই চলছে।’

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটে ছোট, মাঝারি গরুর চাহিদা সবচে ছিল বেশি। দামও গতবারের চেয়ে বেশি ছিলো। সারা দেশে প্রায় ৯০ লাখ পশু বিক্রি হয়েছে।

এবার আনুমানিক ৫৫ হাজার কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হয়েছে। এছাড়াও ঈদ কেন্দ্রীক মসলার বাজার ৭ হাজার কোটি টাকার। হজযাত্রী ছিলো ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি। ঈদে যাতায়াত, পর্যটনেও বড় অংকের লেনদেন হয়। বাজারে আসে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস। ফ্রিজ, টেলিভিশনের মতো ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রিও বাড়ে। পশুর চামড়ার বেচাকেনাও যুক্ত হয় বাড়তি মাত্রায়।

অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘একদিকে কোরবানির ঈদের সাথে গ্রামীণ অর্থনীতির একটি বড় সংযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, আমাদের যে চামরা শিল্প তাতেও কোরবানির একটি বড় ভূমিকা আছে। একারনেই এই ঈদকে ঘিরে আমাদের কেনাবেচা কিরকম হলো তার উপরও অনেক মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে।’

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পোশাকের বাজার বরাবরই ছিলো ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার। এবার কিন্তু নেমে এসেছে এক থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যে। আমাদের যে পশুর বাজার সেটাও বড় একটি বাজার। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার বাজার।’

এদিকে, ঈদের আগে চলতি মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২০২ কোটি ডলারের বেশি। টাকার অংকে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশিরভাগই গ্রামীণ অর্থনীতিতে যুক্ত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোরবানি ঈদে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

আপডেট সময় : ০৮:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি ঈদে এবার লেনদেন হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। সারা বছর মাংসের চাহিদা মিটছে স্থানীয়ভাবে। পশুপালনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রান্তিক মানুষের জন্য কোরবানির ঈদের যেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে, তেমনি বাড়তি লেনদেন জিডিপিতেও রাখছে ইতিবাচক প্রভাব।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশে এবার গরু, মহিষ, ছাগলসহ প্রায় সোয়া এক কোটি পশু পালন করা হয়। বছরজুড়ে এসব পশুর যত্নে ব্যস্ত থাকেন খামারীরা। অনেকে খামার থেকেই ভালো দামে বিক্রি করেছেন গরু।

রাজশাহীর এক উদ্যোক্তা বলেন, ‘এ বছর আমরা ৯টি গরু বিক্রি করেছি। সবুজ ঘাস আর বিভিন্ন দানা তৈরি করে তারপর খাওয়াই। এজন্য উৎপাদনের খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালোই চলছে।’

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটে ছোট, মাঝারি গরুর চাহিদা সবচে ছিল বেশি। দামও গতবারের চেয়ে বেশি ছিলো। সারা দেশে প্রায় ৯০ লাখ পশু বিক্রি হয়েছে।

এবার আনুমানিক ৫৫ হাজার কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হয়েছে। এছাড়াও ঈদ কেন্দ্রীক মসলার বাজার ৭ হাজার কোটি টাকার। হজযাত্রী ছিলো ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি। ঈদে যাতায়াত, পর্যটনেও বড় অংকের লেনদেন হয়। বাজারে আসে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদ বোনাস। ফ্রিজ, টেলিভিশনের মতো ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রিও বাড়ে। পশুর চামড়ার বেচাকেনাও যুক্ত হয় বাড়তি মাত্রায়।

অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, ‘একদিকে কোরবানির ঈদের সাথে গ্রামীণ অর্থনীতির একটি বড় সংযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, আমাদের যে চামরা শিল্প তাতেও কোরবানির একটি বড় ভূমিকা আছে। একারনেই এই ঈদকে ঘিরে আমাদের কেনাবেচা কিরকম হলো তার উপরও অনেক মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে।’

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পোশাকের বাজার বরাবরই ছিলো ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার। এবার কিন্তু নেমে এসেছে এক থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যে। আমাদের যে পশুর বাজার সেটাও বড় একটি বাজার। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার বাজার।’

এদিকে, ঈদের আগে চলতি মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২০২ কোটি ডলারের বেশি। টাকার অংকে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশিরভাগই গ্রামীণ অর্থনীতিতে যুক্ত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।