ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কেন ভোটগ্রহণ বন্ধ হলো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় : কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে, তা ভেবে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গাইবান্ধা উপনির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে, ৫১টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে ঢাকা থেকে। এটা তারা করতে পারেন। কিন্তু, ঢাকায় বসে সাংবাদিকদের নিয়ে গোপন বুথের যে ছবি ধরা পড়েছে, তার ভিত্তিতে কেন্দ্র বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক? কতটা বাস্তবসম্মত? কতটা আইনসম্মত? এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনয়ের সঙ্গে ভেবে দেখতে বলব।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বসিলা যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন স্থানে ঢাকা নগর পরিবহনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাই না। তবে অতীতে কখনো এরকম নজিরবিহীন কিছু ঘটেছে বলে জানা নেই। কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হলো, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বাকি কেন্দ্রে তো নির্বাচন হতে পারত।

প্রিসাইডিং অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করেছে। কিন্তু, তারা বলেছে প্রিসাইডিং অফিসারের লিখিত ভাষ্য আছে। নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে যেসব কেন্দ্র বন্ধ করেনি, সে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা সবাই একবাক্যে বলেছে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। তারা নির্বাচনী কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছে।

তিনি আরো বলেন, গাইবান্ধা উপনির্বাচন নিয়ে এখানে আমি বেশি কথা বলব না। আমরা ক্ষমতায় আছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে ১২ থেকে ১৩ মাস বাকি। ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের দেশ চালাতে হবে। বিরোধীদল ক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু কথায় কথায় আমাদের ক্ষুব্ধ হলে চলবে না। নির্বাচন হবে যথাসময়ে। সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। গাইবান্ধা উপনির্বাচনেও করেনি। কোথাও করছে না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কেন ভোটগ্রহণ বন্ধ হলো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় : কাদের

আপডেট সময় : ০৩:১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে, তা ভেবে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গাইবান্ধা উপনির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে, ৫১টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে ঢাকা থেকে। এটা তারা করতে পারেন। কিন্তু, ঢাকায় বসে সাংবাদিকদের নিয়ে গোপন বুথের যে ছবি ধরা পড়েছে, তার ভিত্তিতে কেন্দ্র বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক? কতটা বাস্তবসম্মত? কতটা আইনসম্মত? এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনকে বিনয়ের সঙ্গে ভেবে দেখতে বলব।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বসিলা যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন স্থানে ঢাকা নগর পরিবহনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাই না। তবে অতীতে কখনো এরকম নজিরবিহীন কিছু ঘটেছে বলে জানা নেই। কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হলো, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বাকি কেন্দ্রে তো নির্বাচন হতে পারত।

প্রিসাইডিং অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করেছে। কিন্তু, তারা বলেছে প্রিসাইডিং অফিসারের লিখিত ভাষ্য আছে। নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে যেসব কেন্দ্র বন্ধ করেনি, সে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা সবাই একবাক্যে বলেছে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। তারা নির্বাচনী কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছে।

তিনি আরো বলেন, গাইবান্ধা উপনির্বাচন নিয়ে এখানে আমি বেশি কথা বলব না। আমরা ক্ষমতায় আছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে ১২ থেকে ১৩ মাস বাকি। ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের দেশ চালাতে হবে। বিরোধীদল ক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু কথায় কথায় আমাদের ক্ষুব্ধ হলে চলবে না। নির্বাচন হবে যথাসময়ে। সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। গাইবান্ধা উপনির্বাচনেও করেনি। কোথাও করছে না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।