ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কেন ভাঙল ট্রুডোর সংসার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫০২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোফির ১৮ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। এরই মধ্যে তাঁরা একটি আইনি চুক্তিতে সই করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বহুল প্রশংসিত এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটল।

কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সোফি তাঁর ভাইয়ের সহপাঠী ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয়। জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি ট্রুডো জুটি বেঁধেছিলেন ২০০৫ সালের মে মাসে। বর্তমানে ৫১ বছর বয়সি জাস্টিন ও ৪৮ বছর বয়সী সোফি দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে।

অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন উঠেছে কেন ১৮ বছর পর কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন ট্রুডো ও সোফি। এ নিয়ে পুরোপুরি জানা যায়নি। হয়তো কখনও সম্ভবও হবে না।

গতকাল বুধবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রুডো দম্পতি নিজেদের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটিয়ে আলাদা থাকার এই সিদ্ধান্ত সব ধরনের নৈতিক ও আইনি পথ মেনেই নিয়েছেন। সামনে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও সব পদক্ষেপ আইন ও নৈতিকতা মেনেই নেবেন।

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ আরও বেড়েছে

ট্রুডো দম্পতির বিচ্ছেদের কারণে তাঁদের সন্তানেরা কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, তারা একটি পরিবারের মতোই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ও সোফি তাঁদের সন্তানদের নিরাপদ, ভালোবাসা ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠার দিকেই মনোযোগ দেবেন। যেকোনো ছুটিতে এই পরিবার একত্রিত হবে, যা আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।

২০১৬ সাল ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সোফি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর গভীর দৃষ্টিতে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে এক সাক্ষাৎকারে সোফি বলেছিলেন, আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ়। আমি নির্বাচনে তাঁকে (ট্রুডো) সমর্থন দিতে চাই। আর এটি পারিবারিক একটি বিষয়ও।

ট্রুডোর বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে যে দিকটিকে অন্যতম প্রধান হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে সেটি হলো রাজনীতিবিদ মেলানিয়া জোলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন। কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যমে এ দুজনের সম্পর্ক নিয়ে বহু প্রতিবেদন হয়েছে।

এছাড়া ট্রুডোর রাজনৈতিক দায়িত্বও তাঁর বিচ্ছের আরেকটি কারণ হতে পারে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পারিবারিক সময় না দেওয়ায় এ সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সোফিও তাঁর স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী ছিলেন। তবে এ বিচ্ছেদের পর কানাডার জনগণ স্তম্ভিত হয়েছেন। সেইসঙ্গে অবাক হয়েছে বিশ্বের বহু মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কেন ভাঙল ট্রুডোর সংসার

আপডেট সময় : ০১:১২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোফির ১৮ বছরের সংসার ভেঙে গেছে। এরই মধ্যে তাঁরা একটি আইনি চুক্তিতে সই করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বহুল প্রশংসিত এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটল।

কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সোফি তাঁর ভাইয়ের সহপাঠী ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয়। জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি ট্রুডো জুটি বেঁধেছিলেন ২০০৫ সালের মে মাসে। বর্তমানে ৫১ বছর বয়সি জাস্টিন ও ৪৮ বছর বয়সী সোফি দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে।

অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন উঠেছে কেন ১৮ বছর পর কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন ট্রুডো ও সোফি। এ নিয়ে পুরোপুরি জানা যায়নি। হয়তো কখনও সম্ভবও হবে না।

গতকাল বুধবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রুডো দম্পতি নিজেদের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটিয়ে আলাদা থাকার এই সিদ্ধান্ত সব ধরনের নৈতিক ও আইনি পথ মেনেই নিয়েছেন। সামনে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও সব পদক্ষেপ আইন ও নৈতিকতা মেনেই নেবেন।

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ আরও বেড়েছে

ট্রুডো দম্পতির বিচ্ছেদের কারণে তাঁদের সন্তানেরা কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, তারা একটি পরিবারের মতোই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ও সোফি তাঁদের সন্তানদের নিরাপদ, ভালোবাসা ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠার দিকেই মনোযোগ দেবেন। যেকোনো ছুটিতে এই পরিবার একত্রিত হবে, যা আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।

২০১৬ সাল ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সোফি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর গভীর দৃষ্টিতে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে এক সাক্ষাৎকারে সোফি বলেছিলেন, আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ়। আমি নির্বাচনে তাঁকে (ট্রুডো) সমর্থন দিতে চাই। আর এটি পারিবারিক একটি বিষয়ও।

ট্রুডোর বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে যে দিকটিকে অন্যতম প্রধান হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে সেটি হলো রাজনীতিবিদ মেলানিয়া জোলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন। কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যমে এ দুজনের সম্পর্ক নিয়ে বহু প্রতিবেদন হয়েছে।

এছাড়া ট্রুডোর রাজনৈতিক দায়িত্বও তাঁর বিচ্ছের আরেকটি কারণ হতে পারে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পারিবারিক সময় না দেওয়ায় এ সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সোফিও তাঁর স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী ছিলেন। তবে এ বিচ্ছেদের পর কানাডার জনগণ স্তম্ভিত হয়েছেন। সেইসঙ্গে অবাক হয়েছে বিশ্বের বহু মানুষ।