আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ক্রাইমিয়ার সেভাস্তোপোলের কাছে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের ওপর ইউক্রেইনের ব্যাপক ড্রোন হামলাকে কারণ দেখিয়ে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রফতানিতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কিইভের সঙ্গে তিন মাস আগে হওয়া চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।
যে পথে শস্য যেত সে পথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বহরের ওপরই ইউক্রেইন ড্রোন হামলা চালানোয় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভাষ্য মস্কোর।
তাদের এ সিদ্ধান্তকে বৈশ্বিক খাদ্য সঙ্কট নিরসনের চেষ্টায় বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার (২৯ অক্টোবর) ১৬টি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেইন তাদের নৌবহরের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এ ‘সন্ত্রাসী’ হামলাটি সমন্বয় করতে সহযোগিতা করেছে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ‘বিশেষজ্ঞরা’।
হামলাটি প্রতিহত করা হয়েছে, মাইন সরানোর কাজে ব্যবহৃত একটি নৌযানের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বলেছে তারা। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রফতানির পথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বহরের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেইন এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
ইউক্রেইনের বন্দরগুলো থেকে কৃষিজাতীয় পণ্য রপ্তানির চুক্তি বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ স্থগিত করল রাশিয়া, বিবৃতিতে বলেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন উড়িয়ে দেওয়ার জন্যও ব্রিটিশ নৌবাহিনীকে দায়ী করেছে।
যুক্তরাজ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ইউক্রেইনে নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতেই রাশিয়া এ ধরনের মহাকাব্যিক মিথ্যা বলছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, রাশিয়া নিজেদের স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলার কল্পকাহিনী’ ফেঁদেছে। চুক্তি থেকে বের হয়ে যেতে মস্কো ‘মিথ্যা অজুহাত’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবাও। রাশিয়া যেন তাদের এই হাঙ্গার গেইমস বন্ধ করে চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলে তা নিশ্চিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।