কারাগারে ভুয়া নিয়োগে জড়িতদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের কারাগারগুলোতে কারারক্ষী পদে ৮৮ জনের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কারা মহাপরিদর্শককে (আইজি প্রিজন) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই ‘চাকরি ফিরে পেতে চান কুলাউড়ার জহিরুল: জালিয়াতি করে কারারক্ষী পদে চাকরি ১৮ বছর পর তদন্তে প্রমাণিত!’ শিরোনামে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম এশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। নিয়োগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র না পাওয়ায় চাকরির আশা ছেড়ে শহরে ব্যবসা শুরু করেন।
কিন্তু দীর্ঘ ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন অন্যজন। আর এরই মধ্যে জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার এজি মাহমুদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন।
এরমধ্যে এশু চাকরি ফিরে পেতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিলেটের কারা উপ-মহাপরিদর্শক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে কারারক্ষী পদে আবেদনকারীর যোগদানপত্র গ্রহণে এবং আবেদনকারীর পদে চাকরি করা অন্যজন জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন পাঁচ বিবাদীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।