ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ায় ১৫ আগষ্টে উপজেলা পরিষদ মসজিদে দোয়া মিলাদ, আ’লীগের ডাক সাইটের নেতারা লাপাত্তা

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৭২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পালিত হয়নি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দেয়ায় স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কোন কর্মসূচি পালন করা হয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জানায়নি কেউ। তবে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগষ্ট পালন না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, গত ১৫ বছর দলের পদ ও প্রতিষ্ঠানিক পদবী দখলে রেখে যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তারা এখন কোথায় আবার কেউ বলছেন, দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাদের কাছে দলের পদ পদবী বিক্রী করা হয়েছে তারা কই।

সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কারের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতেই দেশ ছেড়ে চলেযেতে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠা নেতারা। এদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, ইউছুফ মিয়া,পান্নু সিকদার সহ ডাক সাইটের একাধিক নেতা। এছাড়া ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেয় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, হিরো আলম,ভাগিনা কামাল,রিপন সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদের সিংহ ভাগ নেতা। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল কমিটির নেতা কর্মীরাও। তাদের খোজও নিচ্ছেনা কোন নেতারা ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তিন তিনবার ভাঙচুর, মহিপুর থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কার্যালয়, কুয়াকাটা আওয়ামী লীগ কার্যলয় ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিটি ইউনিয়নে হামলা, নির্যাতন আতঙ্কে নেতা কর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট পালন করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে উপজেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতন, হামলা মামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অথচ আমরা শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনার পতনের পর দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়, তবে তা ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ১৫ ই আগস্ট পালন করার তথ্য জানা যায়নি।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় ১৫ আগষ্টে উপজেলা পরিষদ মসজিদে দোয়া মিলাদ, আ’লীগের ডাক সাইটের নেতারা লাপাত্তা

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পালিত হয়নি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস। ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দেয়ায় স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কোন কর্মসূচি পালন করা হয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জানায়নি কেউ। তবে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগষ্ট পালন না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, গত ১৫ বছর দলের পদ ও প্রতিষ্ঠানিক পদবী দখলে রেখে যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তারা এখন কোথায় আবার কেউ বলছেন, দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাদের কাছে দলের পদ পদবী বিক্রী করা হয়েছে তারা কই।

সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কারের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতেই দেশ ছেড়ে চলেযেতে শুরু করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠা নেতারা। এদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, ইউছুফ মিয়া,পান্নু সিকদার সহ ডাক সাইটের একাধিক নেতা। এছাড়া ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেয় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, হিরো আলম,ভাগিনা কামাল,রিপন সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদের সিংহ ভাগ নেতা। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল কমিটির নেতা কর্মীরাও। তাদের খোজও নিচ্ছেনা কোন নেতারা ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তিন তিনবার ভাঙচুর, মহিপুর থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কার্যালয়, কুয়াকাটা আওয়ামী লীগ কার্যলয় ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিটি ইউনিয়নে হামলা, নির্যাতন আতঙ্কে নেতা কর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট পালন করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে উপজেলা বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, খুন, নির্যাতন, হামলা মামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অথচ আমরা শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনার পতনের পর দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে এ উপজেলায়, তবে তা ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও ১৫ ই আগস্ট পালন করার তথ্য জানা যায়নি।

 

বাখ//আর