ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ায় সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিপাত, ডুবে গেছে বীজতলা, উত্তাল বঙ্গোপসাগর

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে সব কিছুতে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। পানির নিচে তলিয়ে আছে আমন ক্ষেত। অনেক কৃষকের আমনের বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। চারা রোপনে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বর্ষাকালীন সবজি চাষীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীড়ে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদী পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রতিদিন দু,দফা জোয়ারে নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়ি প্লাবিত হচ্ছে।

মহিপুরের কৃষক মজিবর বলেন,আমি একে একে দুইবার বিচ করেছি,বৃষ্টির পানিতে বিচতলা ডুবে সব পচে গেছে।এখন কিআছে কপালে জানিনা। সরকার সহয়তা না করলে আমরা কৃষক মাঠে মাইর।

নীলগঞ্জের সবজি চাষি আ: রহমান বলেন,আমার আমার বেগুন, ঢেরস, চিচিংগা, শসার খেত অতি বৃষ্টিতে ডুবে সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এখন কিজে করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আশ্রাফ হোসেন বলেন, সবজি চাষির চেয়ে ধানচাষিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে।বিচতলা পানিতে ডুবে পচে গেছে। তবে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষদের বিচ দিয়ে সহয়তা করব।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিপাত, ডুবে গেছে বীজতলা, উত্তাল বঙ্গোপসাগর

আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে সব কিছুতে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। পানির নিচে তলিয়ে আছে আমন ক্ষেত। অনেক কৃষকের আমনের বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। চারা রোপনে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বর্ষাকালীন সবজি চাষীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীড়ে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদী পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রতিদিন দু,দফা জোয়ারে নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়ি প্লাবিত হচ্ছে।

মহিপুরের কৃষক মজিবর বলেন,আমি একে একে দুইবার বিচ করেছি,বৃষ্টির পানিতে বিচতলা ডুবে সব পচে গেছে।এখন কিআছে কপালে জানিনা। সরকার সহয়তা না করলে আমরা কৃষক মাঠে মাইর।

নীলগঞ্জের সবজি চাষি আ: রহমান বলেন,আমার আমার বেগুন, ঢেরস, চিচিংগা, শসার খেত অতি বৃষ্টিতে ডুবে সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এখন কিজে করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আশ্রাফ হোসেন বলেন, সবজি চাষির চেয়ে ধানচাষিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে।বিচতলা পানিতে ডুবে পচে গেছে। তবে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষদের বিচ দিয়ে সহয়তা করব।

 

বাখ//আর