পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল পরিবারের সদস্যদের হাত-পা মুখ বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী ওই পরিবারের একটি মোটরসাইকেলও লুটেনেয় ডাকাতদল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মোটরসাইকেল সহ ডাকাত দলের এক সদস্য পটুয়াখালী টোল প্লাজায় ধরা পরেছে।

ঘটনাটি (১৬ সেপ্টেম্বর) সোমবার গভীর রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দীন মিয়ার বাড়িতে ঘটেছে। ঘটনার বিষয়ে ওই বাড়ির মালিক আলাউদ্দীন মিয়া বলেন, বাড়িতে তিনি তার ছেলে মামুন, ও ছেলে বউ সহ পরিবারের তিন সদস্য ছিলেন। আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে ১৩ সদস্যদের একটি ডাকাত দল তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপরে জানালার ফাঁকা দিয়ে দরজার হ্যাজবোল্ট খুলে ৬/৭ সদস্যের একটি দল ঘরে প্রবেশ করে।

তারপর প্রথমে তার ছেলে কলাপাড়ার স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিয়া স্যানিটারীর স্বত্বাধিকারী মো.মামুন মিয়ার হাতপা মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর অন্য রুমে থাকা আলাউদ্দীন মিয়াকেও একই অবস্থায় বেঁধে ফলে। পরবর্তীতে মামুনের স্ত্রী মোসা.আমেনা বেগম (চাঁদনি) কে আরেকটি রুমে নিয়ে বাহির থেকে ছিটকিনি দিয়ে আটকে রাখে। এরপর বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র ট্রাংক, আলমিরা, ওয়ারড্রব ও বিছানা পত্র ওলট পালট করে ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ ভরীর অধিক স্বর্ণালংকার ও পাঁচটি জমির দলিল লুটে নেয় ডাকাত দল।

তিনি আরও বলেন, ডাকাত দল প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী ঘরের মধ্যে তান্ডব চালায় এবং তাদের হুমকি দিয়ে বলে আমরা দলে তের জন, ঘরে কোথায় কি আছে বল নইলে কুঁচি কুচি করে কেটে রেখে যাব। এ সময় ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা বাড়ির বাহিরে পাহারারত অবস্থায় ছিল।

কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাকাত দলের এক সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর সময় পটুয়াখালী টোলপ্লাজায় ধরা পরেছে। বর্তমানে ওই ডাকাত সদস্য পটুয়াখালী থানা হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।