ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ায় পাখীমারা খালে নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৫০৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট , কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতে এলজিইডির অর্থায়নে পাখীমারা খালে নির্মিত হল নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু। পাখীমারা খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রীজটি দুই বছর পূর্বে খালের উপর ভেঙ্গে পড়ার পর নতুন কোন সেতু নির্মিত না হওয়ায় সমস্যায় পড়ে গ্রামবাসী। বিশেষ করে গামইরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা খাল পারাপারের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল যেতে পারতো না। অত:পর উপজেলা পরিষদের উদ্দোগে এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত হল নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৯০টি প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের পাটাতন করে নান্দনিক এ ভাসমান সেতুটি নির্মান করা হয়। ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৮ ফুট প্রস্থের ভাসমান সেতুটি দু’পাশে রেলিংসহ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এর উপর দিয়ে নিরাপদে শিশুরা চলাচল করা সহ বাই সাইকেল চালিয়ে স্বাচ্ছন্দে খাল পার হতে পারবে। এছাড়া ড্রামগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে, সেতুর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে। আর এ ভাসমান সেতু পাল্টে দিয়েছে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা, মজিদপুর, কুমিরমারা গ্রামীন জনপদের চিত্র। নান্দনিক এ সেতু নির্মানের পর শেষ বিকেলের আলোতে সেতুর উপর দাড়িয়ে ছবি তুলতেও আসছে ভ্রমন পিয়াসী মানুষ।
গামইরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্নিমা রানী বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে একদিন খালের উপর আয়রন ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এসময় সেতুতে থাকা ৪/৫ কিশোর আহত হয়। এরপর নতুন করে কোন সেতু নির্মান না হওয়ায় শিশুরা স্কুল যাতায়তে দুর্ভোগে পড়ে। কেননা স্কুলের অন্তত: ৭০ ভাগ শিশু আসতো খালের ওপারের মজিদপুর গ্রাম থেকে। এতে স্কুলটিতে উপস্থিতির হার আশংকাজনক ভাবে কমে যায়। অবশেষে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা বিষয়টি উপজেলা পরিষদের নজরে আনেন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ায় এলজিইডি। পাখীমারা খালে নির্মিত হয় ভাসমান ড্রাম সেতু।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা জানান, গামইরতলা আমার গ্রামের বাড়ী। ওটি আমার স্কুল। শিশু শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে খালের উপর এলজিইডি ভাসমান ড্রাম সেতু নির্মান করে দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, এলজিইডি প্রকৌশলীসহ নির্মানের সময় তদারকি করেছি। যাতে ঠিকাদার শিশুদের নিরাপদ চলাচল উপযোগী করে কাজ সম্পন্ন করে। সেতুটি নির্মানের ফলে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা, মজিদপুর, কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা এখন অনায়াসে চলাচল সহ তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করতে পারবে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ন বলেন, ’ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় পর সেখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কোমলমতি শিশুদের স্কুল যাতায়তে খালের উপর একটি ভাসমান ড্রাম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কয়েকটি গ্রামের কৃষক চলাচল সুবিধাসহ তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করতে পারবে।
বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় পাখীমারা খালে নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু

আপডেট সময় : ১২:০০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
// এ এম মিজানুর রহমান বুলেট , কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতে এলজিইডির অর্থায়নে পাখীমারা খালে নির্মিত হল নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু। পাখীমারা খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রীজটি দুই বছর পূর্বে খালের উপর ভেঙ্গে পড়ার পর নতুন কোন সেতু নির্মিত না হওয়ায় সমস্যায় পড়ে গ্রামবাসী। বিশেষ করে গামইরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা খাল পারাপারের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল যেতে পারতো না। অত:পর উপজেলা পরিষদের উদ্দোগে এলজিইডি’র অর্থায়নে নির্মিত হল নান্দনিক ভাসমান ড্রাম সেতু।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৯০টি প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের পাটাতন করে নান্দনিক এ ভাসমান সেতুটি নির্মান করা হয়। ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৮ ফুট প্রস্থের ভাসমান সেতুটি দু’পাশে রেলিংসহ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এর উপর দিয়ে নিরাপদে শিশুরা চলাচল করা সহ বাই সাইকেল চালিয়ে স্বাচ্ছন্দে খাল পার হতে পারবে। এছাড়া ড্রামগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে, সেতুর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে। আর এ ভাসমান সেতু পাল্টে দিয়েছে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা, মজিদপুর, কুমিরমারা গ্রামীন জনপদের চিত্র। নান্দনিক এ সেতু নির্মানের পর শেষ বিকেলের আলোতে সেতুর উপর দাড়িয়ে ছবি তুলতেও আসছে ভ্রমন পিয়াসী মানুষ।
গামইরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্নিমা রানী বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে একদিন খালের উপর আয়রন ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এসময় সেতুতে থাকা ৪/৫ কিশোর আহত হয়। এরপর নতুন করে কোন সেতু নির্মান না হওয়ায় শিশুরা স্কুল যাতায়তে দুর্ভোগে পড়ে। কেননা স্কুলের অন্তত: ৭০ ভাগ শিশু আসতো খালের ওপারের মজিদপুর গ্রাম থেকে। এতে স্কুলটিতে উপস্থিতির হার আশংকাজনক ভাবে কমে যায়। অবশেষে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা বিষয়টি উপজেলা পরিষদের নজরে আনেন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ায় এলজিইডি। পাখীমারা খালে নির্মিত হয় ভাসমান ড্রাম সেতু।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভিন সীমা জানান, গামইরতলা আমার গ্রামের বাড়ী। ওটি আমার স্কুল। শিশু শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে খালের উপর এলজিইডি ভাসমান ড্রাম সেতু নির্মান করে দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, এলজিইডি প্রকৌশলীসহ নির্মানের সময় তদারকি করেছি। যাতে ঠিকাদার শিশুদের নিরাপদ চলাচল উপযোগী করে কাজ সম্পন্ন করে। সেতুটি নির্মানের ফলে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা, মজিদপুর, কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা এখন অনায়াসে চলাচল সহ তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করতে পারবে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ন বলেন, ’ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় পর সেখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কোমলমতি শিশুদের স্কুল যাতায়তে খালের উপর একটি ভাসমান ড্রাম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কয়েকটি গ্রামের কৃষক চলাচল সুবিধাসহ তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য বাজারজাত করতে পারবে।
বা/খ: এসআর।