ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলাপাড়ায় নবজাতকের নাম রাখালো নেইমার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

কলাপাড়ায় নবজাতকের নাম নেইমার

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
সোমবার  দিবাগত রাত একটায় শুরু হয় ব্রাজিল ও দক্ষিন কোরিয়ার খেলা। এসময় একটি ক্লিনিকে বসে খেলা দেখছিলো কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. লেলিন খান ও এ্যানেসথেসিয়া পার্থ সমদ্দারসহ সেবিকারা। ব্রাজিল প্রথমার্ধ্বে ৪ গোল দেয়ার পর হঠাৎ ডাক্তারের কাছে খবর কাছে আসে প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে ফাতেমা বেগম নামের এক গর্ভবতী মা। রোগীর অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাৎক্ষনিক নেয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। করা হয় সিজার। পরে নবজাতকটি মায়ের পেট থেকে বের করার পরই চিকিৎসকের অপরাসনের কাজে ব্যবহৃত একটি যন্ত্র (কেচি) ধরে ফেলেন। এসময় ডা. লেলিন উচ্ছসিত হয়ে ওই শিশুর নাম রাখেন নেইমার। এবং তার ফেসবুক ওয়ালে ওই ছবিটি শেয়ার করলে বেশ ভাইরাল হয়। অনেকে আবার কমেন্ট করে ওই বাচ্চাটিকে জার্সি উপহার দেয়ার কথা জানান। বর্তমানে ওই শিশুর মা এবং শিশুটি ওই ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।
শিশু নেইমারের ছোট চাচি অন্তরা বেগম জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের নজিবুল্লাহর স্ত্রী ফাতেমা বেগম। রাত দুইটার দিকে প্রসব বেদনা ওঠার পরই ফাতেমাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। পরে তাৎক্ষনিক ডা. লেলিন ফাতেমাকে সিজার করেন এবং শিশুটির নাম রাখেন নেইমার।
ওই ক্লিনিকের সেবিকা আলো বেগম জানান, ব্রাজিল ৪ গোল দেয়ার পর আমরা অনেকটা উচ্ছসিত ছিলাম। কিন্তু এসময় ওই রোগীকে ক্লিনিকে নিয়ে আসা হলে আমরা খেলার প্রথমার্ধ্ব শেষ হওয়ার আগেই তাকে সিজারিয়ান কক্ষে নিয়ে যাই। এবং সিজার শেষে বাচ্চাটি অবাক কান্ড ঘটিয়ে ফেলে। সে ডা. লেলিনের সিজারিয়ান কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রটি ধরে ফেলেন।
কলাপাড়া হসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লেলিন জানান, আমরা ক্লিনিকের সবাই একসঙ্গে বসে ব্রাজিলের জার্সি পরে খেলা উপভোগ করছিলাম। ৪ গোল হওয়ায় খেলাটি বেশ জমে উঠছিলো। এসময় ওই রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে খেলার বিরতির মাঝে তাৎক্ষনিক তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করি। মজার বিষয় হচ্ছে নবজাতকটি আমি হাতের উপর নেয়ার পর তার মায়ের নার কাটার আগেই আমার হাতের একটি যন্ত্র ধরে ফেলে। এবং সে যন্ত্রটি অনেক্ষন ধরে রাখে। এতে আমার সঙ্গে থাকা সবাই অনেকটা আনন্দিত হয়। এসময় আমির তার নাম নেইমার রেখে দেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় নবজাতকের নাম রাখালো নেইমার

আপডেট সময় : ০৭:০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
সোমবার  দিবাগত রাত একটায় শুরু হয় ব্রাজিল ও দক্ষিন কোরিয়ার খেলা। এসময় একটি ক্লিনিকে বসে খেলা দেখছিলো কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. লেলিন খান ও এ্যানেসথেসিয়া পার্থ সমদ্দারসহ সেবিকারা। ব্রাজিল প্রথমার্ধ্বে ৪ গোল দেয়ার পর হঠাৎ ডাক্তারের কাছে খবর কাছে আসে প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে ফাতেমা বেগম নামের এক গর্ভবতী মা। রোগীর অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাৎক্ষনিক নেয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। করা হয় সিজার। পরে নবজাতকটি মায়ের পেট থেকে বের করার পরই চিকিৎসকের অপরাসনের কাজে ব্যবহৃত একটি যন্ত্র (কেচি) ধরে ফেলেন। এসময় ডা. লেলিন উচ্ছসিত হয়ে ওই শিশুর নাম রাখেন নেইমার। এবং তার ফেসবুক ওয়ালে ওই ছবিটি শেয়ার করলে বেশ ভাইরাল হয়। অনেকে আবার কমেন্ট করে ওই বাচ্চাটিকে জার্সি উপহার দেয়ার কথা জানান। বর্তমানে ওই শিশুর মা এবং শিশুটি ওই ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।
শিশু নেইমারের ছোট চাচি অন্তরা বেগম জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের নজিবুল্লাহর স্ত্রী ফাতেমা বেগম। রাত দুইটার দিকে প্রসব বেদনা ওঠার পরই ফাতেমাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। পরে তাৎক্ষনিক ডা. লেলিন ফাতেমাকে সিজার করেন এবং শিশুটির নাম রাখেন নেইমার।
ওই ক্লিনিকের সেবিকা আলো বেগম জানান, ব্রাজিল ৪ গোল দেয়ার পর আমরা অনেকটা উচ্ছসিত ছিলাম। কিন্তু এসময় ওই রোগীকে ক্লিনিকে নিয়ে আসা হলে আমরা খেলার প্রথমার্ধ্ব শেষ হওয়ার আগেই তাকে সিজারিয়ান কক্ষে নিয়ে যাই। এবং সিজার শেষে বাচ্চাটি অবাক কান্ড ঘটিয়ে ফেলে। সে ডা. লেলিনের সিজারিয়ান কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রটি ধরে ফেলেন।
কলাপাড়া হসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. লেলিন জানান, আমরা ক্লিনিকের সবাই একসঙ্গে বসে ব্রাজিলের জার্সি পরে খেলা উপভোগ করছিলাম। ৪ গোল হওয়ায় খেলাটি বেশ জমে উঠছিলো। এসময় ওই রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে খেলার বিরতির মাঝে তাৎক্ষনিক তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করি। মজার বিষয় হচ্ছে নবজাতকটি আমি হাতের উপর নেয়ার পর তার মায়ের নার কাটার আগেই আমার হাতের একটি যন্ত্র ধরে ফেলে। এবং সে যন্ত্রটি অনেক্ষন ধরে রাখে। এতে আমার সঙ্গে থাকা সবাই অনেকটা আনন্দিত হয়। এসময় আমির তার নাম নেইমার রেখে দেই।