কচুরিপানায় পাঁচ হাজার একর জমির আমন ধান নষ্টের আশঙ্কা
- আপডেট সময় : ০৯:২২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৯৮ বার পড়া হয়েছে
শফিউল আযম, বিশেষ সংবাদদাতা :
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ৭টি বিলে জালের মত বিছানো কচুিরপানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে ভরে গেছে। এতে ১৩টি মৌজার পাঁচ হাজার একর জমির আমন ধান নষ্ট ও রবি ফসল আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ফসল রক্ষায় কচুরী পানা অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় কৃষকেরা জানায়, সাঁথিয়ার গাঙ্গহাটি, মাধপুর, তৈলকুপি, রঘুনাথপুর, আড়িয়াডাঙ্গী, কাজিপুর, ইসলামপুর, চকবায়সা, কুমিরগাড়ী, বামনডাঙ্গা, পদ্মবিলাসহ ১৩টি মৌজার পাঁচ হাজার একর জমিতে আমন ধানের চাষ করছেন বিলপাড়ের প্রায় ৩৫ গ্রামের কৃষক। একমাত্র আমন ধানই তাদের পরিবার পরিজনের সারা বছরের খাদ্যের যোগান দেয়। কচুিরপানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে আমন ধান নষ্টের আশঙ্কায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চলতি বর্ষার পরে গ্যারকা, গোবরাগারা, ডিপেরগাড়া, মোল্লাগাড়া, বিপচাসিং, দুবলাগাড়া, বিলবাইসা বিলের কচুরী পানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। কচুরিপানা আমন ধানের উপরে উঠে ধান গাছ ঢেকে গেছে।
চরপাড়া গ্রামের কৃষক কোরবান আলী, আলতাব আলী, মোসলেম বিশ্বাস, গাঙ্গহাটি গ্রামের আঃ সালাম, আঃ কাদের, আবুল কাশেম, বামনডাঙ্গা গ্রামের আঃ গফুর, ইসলামপুর গ্রামের ফজলু মিয়া, নায়েব আলী, মাধপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বাচ্চু খান, আঃ মজিদ, শমসের আলী, তৈলকপি গামের আজম আলী, দুলাল, তারা খন্দকার বলেন, প্রতি বছর আমন ধানের চাষ করলেও কচুরীর কারনে গত ৬-৭ বছর ধান ঘড়ে উঠাতে পারি না। কচুরিপানার কারনে জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকে। সময় মত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা হয়।
তারা বলেন, কার্তিক অগ্রাায়ন মাসে বিলের জমিতে পেয়াজ, রসুন, খেসারী, কলাই, জব, গম, ছোলাসহ বিভিন্ন রবি ফসল সময়মত ফলাতে পারি না। এছাড়া বিলের সিংহভাগ জমি ইরিগ্রেশন প্রকল্পের আওতাভূক্ত। কৃষকদের জমি থেকে কচুরিপানা অপসরন করতে অনেক অর্থ ও শ্রমের প্রয়োজন হয়, তাদের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে প্রতি বছরের মত এবারও কচুরীপানার কারণে তাদের কষ্টে ফলানো ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিলের কচুরিপানা অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জিব কুমার গোস্বামী বলেন, কৃষি বিভাগের কোন অর্থ বরাদ্দ নেই, তবে আমরা প্রয়োজনীয় ঔষধের পরামর্শ দিব। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এ ব্যাপারে প্রযোজনী ব্যবস্থা নেবে।