ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এবার খুলনায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে

ঘাটে বাঁধা লঞ্চ

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা অফিস : 
খুলনায় চলছে দুই দিনের বাস ধর্মঘট। বাসের পর খুলনার নৌরুটে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট ডেকেছে নৌ-যান শ্রমিকরা।

আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে খুলনা থেকে দক্ষিণ দিকে (দাকোপ, কয়রা, সাতক্ষীরা) যাওয়ার সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রুটে প্রতিদিন ১৫টি লঞ্চ চলাচল করে।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া হলে যেকোনো মুহূর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

ধর্মঘটে থাকা শ্রমিকরা জানান, লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীর খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুলনা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে মালবাহীসহ অন্যান্য লঞ্চ ও নৌযান চলাচল করছে।

লঞ্চঘাটে আসা কয়রার যাত্রী অনুপ মন্ডল বলেন, সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে রাতেই কয়রা থেকে খুলনায় এসেছি। রাতে ছিলাম এক আত্মীয়ের বাসায়। পরীক্ষা দিয়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু বাস চলাচল না করাই লঞ্চঘাটে এসে দেখি লঞ্চও বন্ধ।

এর আগে নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সব যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে খুলনার ১৮ রুটের অধিকাংশ রুটে আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দূর দূরান্তের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার দলটির নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সব পথে গাড়ি বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঢাকা-খুলনার রুটের বাস যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত যাবে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে, সেগুলো চলবে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে সেগুলো বন্ধ থাকবে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না এবং খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের গাড়ি ছেড়ে যাবে না এ দুদিন।

এদিকে বিএনপি নেতারা বলেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নৌপথের সব বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে। এখন নৌ-পথও বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোভাবেই গণসমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এবার খুলনায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ

আপডেট সময় : ০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

খুলনা অফিস : 
খুলনায় চলছে দুই দিনের বাস ধর্মঘট। বাসের পর খুলনার নৌরুটে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট ডেকেছে নৌ-যান শ্রমিকরা।

আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফলে খুলনা থেকে দক্ষিণ দিকে (দাকোপ, কয়রা, সাতক্ষীরা) যাওয়ার সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রুটে প্রতিদিন ১৫টি লঞ্চ চলাচল করে।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া হলে যেকোনো মুহূর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

ধর্মঘটে থাকা শ্রমিকরা জানান, লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীর খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুলনা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে মালবাহীসহ অন্যান্য লঞ্চ ও নৌযান চলাচল করছে।

লঞ্চঘাটে আসা কয়রার যাত্রী অনুপ মন্ডল বলেন, সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে রাতেই কয়রা থেকে খুলনায় এসেছি। রাতে ছিলাম এক আত্মীয়ের বাসায়। পরীক্ষা দিয়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু বাস চলাচল না করাই লঞ্চঘাটে এসে দেখি লঞ্চও বন্ধ।

এর আগে নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সব যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে খুলনার ১৮ রুটের অধিকাংশ রুটে আজ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দূর দূরান্তের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার দলটির নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সব পথে গাড়ি বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঢাকা-খুলনার রুটের বাস যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত যাবে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে, সেগুলো চলবে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে সেগুলো বন্ধ থাকবে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না এবং খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের গাড়ি ছেড়ে যাবে না এ দুদিন।

এদিকে বিএনপি নেতারা বলেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নৌপথের সব বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে। এখন নৌ-পথও বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোভাবেই গণসমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।