ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এনায়েতপুরে বিএনপি নেতা মজনুকে মারধর করলো বিএনপি’র ৩ নেতা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

// আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খুকনী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাবেক তুখোর ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান মজনুকে মারধর করেছে দলের ৩ নেতা। সদ্য গঠিত গোপিনাথপুর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি পকেটস্থ করতে না পেরে আক্রোশে তাকে মারধর ও কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।

ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন গাইরাল, থানা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রাজের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিন্দা, ক্ষোভ ও দলীয় এবং আইনগত শাস্তির দাবী জানিয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল।

দলীয় সুত্রে জানা যায়, এনায়েতপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মজনু (৪৫) দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে নানা সামাজিক কাজ করে আসছেন। কিছুদিন আগে গোপিনাথপুর ওয়ার্ড কমিটিতে খুকনী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাকের মামাতো ভাই মহির উদ্দিনকে সভাপতি ও দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত শামসুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করা হয়। পারিবারিকভাবে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিতর্কিত আব্দুর রাজ্জাক কমিটি কুক্ষিগত করতে পছন্দের ব্যক্তিকে সেক্রেটারি পদে বসাতে না পেরে মজনুর উপর ক্ষুব্দ ছিল বলে মিজানুর রহমান মজনু জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এরই প্রেক্ষিতে রোববার রাতে গোপীনাথপুর ভূঁইয়ার হাট অবস্থানকালে আমাকে বিএনপি নেতা রাজ্জাক ও তার ছোট ভাই যুবদলের নেতা সাইদুলের নির্দেশে তার মামাতো ভাই শ্রমিকদল নেতা গাইরাল ছানোয়ার বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এরপরই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

এদিকে, এলাকার স্বজ্জন হিসেবে পরিচিত মিজানুর রহমান মজনুকে মারধরের খবর জানাজানি হলে বিএনপিসহ এলাকার সবার মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এনায়েতপুর থানা বিএনপি’র এক শীর্ষ নেতা জানান, সামনে আন্দোলন সংগ্রাম। দলের নিবেদিতরা ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে অনেকেই বিএনপি হতে দুরে থাকবে। সাধারন মানুষ আমাদের ভোটও দেবে না। তাই রাজ্জাক, সাইদুল, সানোয়ারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড শুধু দলকেই নয়, সমাজকেও নানা ভাবে হেয় করছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।

এদিকে, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মজনুর ওপর হামলার ব্যাপারে এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

এনায়েতপুরে বিএনপি নেতা মজনুকে মারধর করলো বিএনপি’র ৩ নেতা 

আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

// আব্দুর রাজ্জাক বাবু, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খুকনী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সাবেক তুখোর ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান মজনুকে মারধর করেছে দলের ৩ নেতা। সদ্য গঠিত গোপিনাথপুর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি পকেটস্থ করতে না পেরে আক্রোশে তাকে মারধর ও কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।

ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন গাইরাল, থানা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রাজের এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিন্দা, ক্ষোভ ও দলীয় এবং আইনগত শাস্তির দাবী জানিয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল।

দলীয় সুত্রে জানা যায়, এনায়েতপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মজনু (৪৫) দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে নানা সামাজিক কাজ করে আসছেন। কিছুদিন আগে গোপিনাথপুর ওয়ার্ড কমিটিতে খুকনী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাকের মামাতো ভাই মহির উদ্দিনকে সভাপতি ও দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত শামসুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করা হয়। পারিবারিকভাবে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিতর্কিত আব্দুর রাজ্জাক কমিটি কুক্ষিগত করতে পছন্দের ব্যক্তিকে সেক্রেটারি পদে বসাতে না পেরে মজনুর উপর ক্ষুব্দ ছিল বলে মিজানুর রহমান মজনু জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এরই প্রেক্ষিতে রোববার রাতে গোপীনাথপুর ভূঁইয়ার হাট অবস্থানকালে আমাকে বিএনপি নেতা রাজ্জাক ও তার ছোট ভাই যুবদলের নেতা সাইদুলের নির্দেশে তার মামাতো ভাই শ্রমিকদল নেতা গাইরাল ছানোয়ার বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এরপরই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

এদিকে, এলাকার স্বজ্জন হিসেবে পরিচিত মিজানুর রহমান মজনুকে মারধরের খবর জানাজানি হলে বিএনপিসহ এলাকার সবার মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এনায়েতপুর থানা বিএনপি’র এক শীর্ষ নেতা জানান, সামনে আন্দোলন সংগ্রাম। দলের নিবেদিতরা ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে অনেকেই বিএনপি হতে দুরে থাকবে। সাধারন মানুষ আমাদের ভোটও দেবে না। তাই রাজ্জাক, সাইদুল, সানোয়ারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড শুধু দলকেই নয়, সমাজকেও নানা ভাবে হেয় করছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।

এদিকে, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মজনুর ওপর হামলার ব্যাপারে এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

বা/খ: এসআর।