ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দুর্ভোগে শিক্ষার্থী, পথচারী- প্রতিবেশিরা

উল্লাপাড়ায় হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায় 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরশহরের শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কেয়া হাসপাতালের  ট্যাংকির মল ও বর্জ্য প্রতিনিয়ত রাস্তা দিয়ে গড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করতে গেলে প্রতিবেশিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর প্রতিবেশিরা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে বিল্ডিংয়ের বাইরে রাস্তা সংলগ্ন জায়গায় ল্যাটিনের ট্যাংকি বসিয়ে ব্যবহার করে আসছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ট্যাংকি থেকে মল ও বর্জ্য মাঝে মধ্যেই রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। এ নিয়ে প্রতিবেশিরা বার বার হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অভিযোগ করলে কানে তোলেনি তারা। গত সোমবার বিকেলে প্রতিবেশি জিয়াউর রহমানের ছেলের মুসলমানি অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে দাওয়াতি লোকজন খাওয়া-দাওয়ার সময় হাসপাতালের ল্যান্টিনের ট্যাংকি ভেঙে মল ও বর্জ্য রাস্তায় গড়িয়ে এলে দুর্গন্ধে মানুষ খাবার রেখে চলে যায়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবেশি ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা পরে ধস্তাধস্তি বেধেঁ যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৪ ব্যক্তি আহত হয়।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান ও প্রতিবেশি একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কেয়া হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম  তার তত্ত্বাবধানে তার বউকে দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের অনৈতিকভাবে এ্যাবোসন করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতাল  বিরুদ্ধে। গরীব ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার কথা বলে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে এই প্রতারক। তার এই অবৈধ টাকার গরমে ও সমাজের প্রভাবশালীদের দাপটে ধরাকে সড়া জ্ঞান করে বসেছে এই পরিচালক মাহবুব।
কেয়া হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম জানান, ভাড়াটিয়া বিল্ডিংয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করি। কোন কাজ করতে গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়া সম্ভব হয় না। তাই ল্যাটিন মেরামত করতে  সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা: মোঃ আতাউল গণি ওসমানি কোমল জানান, কেয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বা/খ/রা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দুর্ভোগে শিক্ষার্থী, পথচারী- প্রতিবেশিরা

উল্লাপাড়ায় হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায় 

আপডেট সময় : ০৪:২২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
// উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরশহরের শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কেয়া হাসপাতালের  ট্যাংকির মল ও বর্জ্য প্রতিনিয়ত রাস্তা দিয়ে গড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করতে গেলে প্রতিবেশিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর প্রতিবেশিরা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে বিল্ডিংয়ের বাইরে রাস্তা সংলগ্ন জায়গায় ল্যাটিনের ট্যাংকি বসিয়ে ব্যবহার করে আসছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ট্যাংকি থেকে মল ও বর্জ্য মাঝে মধ্যেই রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। এ নিয়ে প্রতিবেশিরা বার বার হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অভিযোগ করলে কানে তোলেনি তারা। গত সোমবার বিকেলে প্রতিবেশি জিয়াউর রহমানের ছেলের মুসলমানি অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে দাওয়াতি লোকজন খাওয়া-দাওয়ার সময় হাসপাতালের ল্যান্টিনের ট্যাংকি ভেঙে মল ও বর্জ্য রাস্তায় গড়িয়ে এলে দুর্গন্ধে মানুষ খাবার রেখে চলে যায়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবেশি ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা পরে ধস্তাধস্তি বেধেঁ যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৪ ব্যক্তি আহত হয়।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান ও প্রতিবেশি একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কেয়া হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম  তার তত্ত্বাবধানে তার বউকে দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের অনৈতিকভাবে এ্যাবোসন করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতাল  বিরুদ্ধে। গরীব ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার কথা বলে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে এই প্রতারক। তার এই অবৈধ টাকার গরমে ও সমাজের প্রভাবশালীদের দাপটে ধরাকে সড়া জ্ঞান করে বসেছে এই পরিচালক মাহবুব।
কেয়া হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম জানান, ভাড়াটিয়া বিল্ডিংয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করি। কোন কাজ করতে গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়া সম্ভব হয় না। তাই ল্যাটিন মেরামত করতে  সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা: মোঃ আতাউল গণি ওসমানি কোমল জানান, কেয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বা/খ/রা