ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিবিদ ছিলেন না : টুকু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। রাজনীতির সঙ্গে সস্পৃক্ত ছিলেন না তিনি।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোকো রাজনীতির সঙ্গে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটা আমরা দেখেছি- আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না, আমার জানা নেই।

টুকু বলেন, কোকোর প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটা আমরা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির জানাজায় এত মানুষ হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না আমার জানা নেই। বিমানবন্দর থেকে হেঁটে হেঁটে লাখো মানুষ গুলশান, গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররম এসেছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হলো জিয়া পরিবারের সন্তান।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হওয়ার জন্য ১/১১-তে তার (আরাফাত রহমান কোকো) ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছিল- তা ছিল অমানবিক। কোকোর বড় ভাই, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল, তার কোমরের হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এমন নৃশংস নির্যাতন বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনীতিবিদদের ওপর কোনো দিনও হয়নি।

তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর ওপর নির্যাতনের কারণ হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এর একটাই কারণ ছিল শহীদ জিয়াউর রহমান একটা দল তৈরি করেছিলেন, তার নাম বিএনপি। যে দলটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রিয়। খালেদা জিয়া এ দলকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এ দলকে ধ্বংস করতে হলে জিয়াউর রহমানের দুই সন্তানকে ধ্বংস করতে হবে। একপর্যায়ে আরাফাত রহমান কোকোকে দেশের বাইরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছে।

‘আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকো কাজ করে গেছেন’ জানিয়ে টুকু বলেন, বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের করতে তিনি সব কিছু করেছেন। এই ইতিহাস কেউ লিখবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে ক্রিকেট, এই ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য যে কাজ আরাফাত রহমান কোকো করে গিয়েছেন- তার ওপরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ দাঁড়িয়ে আছে। এটা ইতিহাসে লেখা থাকে না। বাংলাদেশের এই ইতিহাস বিকৃতির সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে অবদান তা লেখা থাকবে না।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিবিদ ছিলেন না : টুকু

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। রাজনীতির সঙ্গে সস্পৃক্ত ছিলেন না তিনি।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোকো রাজনীতির সঙ্গে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটা আমরা দেখেছি- আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না, আমার জানা নেই।

টুকু বলেন, কোকোর প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটা আমরা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির জানাজায় এত মানুষ হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না আমার জানা নেই। বিমানবন্দর থেকে হেঁটে হেঁটে লাখো মানুষ গুলশান, গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররম এসেছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হলো জিয়া পরিবারের সন্তান।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হওয়ার জন্য ১/১১-তে তার (আরাফাত রহমান কোকো) ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছিল- তা ছিল অমানবিক। কোকোর বড় ভাই, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল, তার কোমরের হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এমন নৃশংস নির্যাতন বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনীতিবিদদের ওপর কোনো দিনও হয়নি।

তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর ওপর নির্যাতনের কারণ হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এর একটাই কারণ ছিল শহীদ জিয়াউর রহমান একটা দল তৈরি করেছিলেন, তার নাম বিএনপি। যে দলটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রিয়। খালেদা জিয়া এ দলকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এ দলকে ধ্বংস করতে হলে জিয়াউর রহমানের দুই সন্তানকে ধ্বংস করতে হবে। একপর্যায়ে আরাফাত রহমান কোকোকে দেশের বাইরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছে।

‘আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকো কাজ করে গেছেন’ জানিয়ে টুকু বলেন, বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের করতে তিনি সব কিছু করেছেন। এই ইতিহাস কেউ লিখবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে ক্রিকেট, এই ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য যে কাজ আরাফাত রহমান কোকো করে গিয়েছেন- তার ওপরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ দাঁড়িয়ে আছে। এটা ইতিহাসে লেখা থাকে না। বাংলাদেশের এই ইতিহাস বিকৃতির সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে অবদান তা লেখা থাকবে না।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।