স্পোর্টস ডেস্ক :
এবারের কাতার বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে চমক দেখায় মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে মরক্কো। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মরক্ককোকে সেমিফাইনালে তুলতে সাহায্য করেন পিএসজির তারকা ফুটবলার আশরাফ হাকিমি।
বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলার সুযোগ না হলেও মরক্কো যে বিশ্ব ফুটবলেউঠতি পরাশক্তি হতে পারে সেটার জানান ভালোভাবেই দিয়েছে তারা। আর এই রূপকথার বড় নায়ক ছিলেন মরক্কান ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি।
বিশ্বকাপে বড়সড় অবদান রেখে এবার সুখবর পেয়েছেন হাকিমি। আরবের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরষ্কার গেছে তার ঝুলিতে। গত বছর পারফরম্যান্সে আরব দেশগুলোর অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের ছাপিয়ে গেছেন তিনি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয় ‘জয় অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি’। মায়ের সঙ্গে সেখানে হাজির হয়েছিলেন হাকিমি। তিনি বলেন, আসসালাম আলাইকুমু, এখানে এসে সত্যিই খুশি আমি। সৌদি আরব একটি বিশেষ দেশ। মায়ের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুশ্যি। তিনি আমার পাশে আছেন। পিএসজি এবং আমার দেশ মরক্কোকেও পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এখানে এসে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে।
কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের পর মায়ের সঙ্গে উদযাপন করে পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন হাকিমি। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফেরার পর বীরোচিত সংবর্ধনা পায় হাকিমি ও তার সতীর্থরা।
উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান ফুটবলে হাকিমি বেশ পরিচিত মুখ। খেলছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির হয়ে। এর আগেও নজর কেড়েছেন ইউরোপীয় বেশকিছু ক্লাবের। পিএসজির জার্সিতে গত বছর ৩৮ ম্যাচ খেলে ৪টি গোল ও ৬ টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্ডার। অন্যদিকে জাতীয় দলে ২০ ম্যাচে ৩ গোল করেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরার পর তাকে ও তার সতীর্থদের বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয়।