কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর যুব সমাবেশ
আমরা ক্ষমা ও সবরের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই : মাওঃ আবুল কালাম আজাদ
- আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যে কোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যে কোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুথানের মাধ্যমে জালিমের জুলুম থেকে মহান রব আমাদের উদ্ধার করেছেন। আমরা স্বৈরাচারীর মতো কোন আচরণ করবোনা। আমরা ক্ষমা ও সবরের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমাদী ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগে আমাদী বাজারে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আমাদী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রাসেলের সভাপতিত্বে খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হলেন, জামায়াতে ইসলামীর কয়রা উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সাইফুল্যাহ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি প্রফেসর ওয়ালীউল্লাহ, সহ সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ। বক্তব্য রাখেন বাগালী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, আমাদী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা সাজ্জাদুল ইসলাম, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মো. মিজানুর রহমান, কয়রা উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি জি এম মোনায়েম, মাওলানা শামসুজ্জামান, প্রফেসর আনোয়ারুল কাদির, প্রফেসর মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, যারা জালিমের হাতে মৃত্যুবরণ করলেন আল্লাহ তাদের শহীদের মর্যাদা দান করুন। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ রইল, যারা লুটতরাজ, চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদেরকে কোনো ছাড় দিবেন না। ছাড় দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এবার জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা অন্যায়ের সাথে কোনো আপস করে না। তারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করলো তারা দেশে শান্তি চায়। আমরা যেন দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারি আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন।
সরকার পতনের পর যারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা এসব অপকর্মে জড়িত হচ্ছেন তাদের বিনয়ের সাথে বলব আপনারা শিক্ষা নেন, এখনো মানুষের বুকের চাপা কষ্ট দূর হয়নি। বাড়াবাড়ি যারাই করবেন জনগন তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।
বাখ//আর