বিদ্যুতের পাইকারি দাম না বাড়িয়ে আগের দামই বহাল রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড- পিডিবির প্রস্তাবনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা থাকলেও আগের দামেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিইআরসি আয়োজিত বিদ্যুতের পাইকারি দাম ঘোষণা সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জালিল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের নতুন দাম নিয়ে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। আমরা এরই মধ্যে অনেকবার বিষয়টি নিয়ে বসেছি। আমরা বিচার-বিশ্লেষণও করেছি। আজকে শেষদিনে আমরা ঘোষণা করলাম।’
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, পিডিবি যে প্রস্তাবনা দিয়েছে তা স্পষ্ট ছিলনা। তবে আজকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো রকম আপত্তি থাকলে তারা রিভিউ আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদেরও নিজেদের সকল তথ্য স্পষ্ট ও নতুন করে উত্থাপন করেই রিভিউ আবেদন করতে হবে। তারপর আইন যা বলে আমরা সেটিই করবো। এ বিষয়ে আরেকটি গণশুনানি হতে পারে বা সরাসরি বিবেচনায়ও আনা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির সেক্রেটারি ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান খানসহ অন্যান্য সদস্য ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৮ মে পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর গণশুনানি করে কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের ১৪ অক্টোবর শেষ কার্যদিবস। এই কারণে ১৩ অক্টোবর ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গণশুনানিতে বিদ্যুতের পাইকারি দাম প্রায় ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করে পিডিবি। সেসময় ভর্তুকি ছাড়া ৫৮ শতাংশ দাম বাড়ানো এবং ভর্তুকি দিলে দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কোন প্রস্তাবই আমলে নেননি বিইআরসি।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ৫ টাকা ১৭ পয়সা প্রতি ইউনিট নির্ধারণ করে বিইআরসি। নতুন করে দাম না বাড়ানোয় আগের দামই থাকছে বিদ্যুৎ।