ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আগামী বাজেটে ভর্তুকি বরাদ্দ চেয়েছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়। ধনী ও মধ্যবিত্তরা যাতে গ্যাস, তেল এবং বিদ্যুতে ভতুর্কি সুবিধা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৪১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

বাজেটে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে ভতুর্কি সব সময় একটি আলোচিত বিষয়। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ১৭ হাজার এবং জ্বালানি খাতে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১১ টাকা খরচ হলেও বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ছয় টাকায়। আইএমএফের পরামর্শে গত কয়েক মাসে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার এ দাম আরও বাড়িয়ে আগামীতে ভর্তুকি আরও কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্যান্যবারের মত এবারও জ্বালানি খাতের চেয়ে অনেক বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। মূলত গ্রিড লাইন, বিতরণ লাইনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ চাইছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জ্বালানি খাতে আগামী বাজেটে চাওয়া হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। তেল গ্যাস অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন খাতে এ অর্থ ব্যয় ধরা হয়েছে।

প্রাথমিক জ্বালানির উৎপাদন বা সরবরাহ বাড়াতে বিদ্যুতের চেয়ে জ্বালানি খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়া উচিত। জ্বালানির চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বেশি বরাদ্দ চাওয়া নিয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন জানান, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার কারণে ধুঁকছে দেশের বিদ্যুৎ খাত।

দেশে নতুন বড় প্রকল্পে হাত না দিয়ে বিদ্যমান প্রকল্পের প্রতি নজর দেওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামী বাজেটে ভর্তুকি বরাদ্দ চেয়েছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়। ধনী ও মধ্যবিত্তরা যাতে গ্যাস, তেল এবং বিদ্যুতে ভতুর্কি সুবিধা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৪১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে জ্বালানি তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

বাজেটে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে ভতুর্কি সব সময় একটি আলোচিত বিষয়। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ১৭ হাজার এবং জ্বালানি খাতে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১১ টাকা খরচ হলেও বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ছয় টাকায়। আইএমএফের পরামর্শে গত কয়েক মাসে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার এ দাম আরও বাড়িয়ে আগামীতে ভর্তুকি আরও কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্যান্যবারের মত এবারও জ্বালানি খাতের চেয়ে অনেক বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। মূলত গ্রিড লাইন, বিতরণ লাইনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ চাইছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জ্বালানি খাতে আগামী বাজেটে চাওয়া হবে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। তেল গ্যাস অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন খাতে এ অর্থ ব্যয় ধরা হয়েছে।

প্রাথমিক জ্বালানির উৎপাদন বা সরবরাহ বাড়াতে বিদ্যুতের চেয়ে জ্বালানি খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়া উচিত। জ্বালানির চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বেশি বরাদ্দ চাওয়া নিয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন জানান, সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার কারণে ধুঁকছে দেশের বিদ্যুৎ খাত।

দেশে নতুন বড় প্রকল্পে হাত না দিয়ে বিদ্যমান প্রকল্পের প্রতি নজর দেওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।