ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সময় মিলে গেলে আমরা কী করব : ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আগামী জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে নেত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে উপ-কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে না। বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন এবং অন্যান্য সম্মেলন নিয়মিত প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সময় মিলে গেলে আমরা কী করব বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি না। আমাদের সম্মেলনের তারিখ আগেই নির্ধারিত। এটা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি সভা ও ধারাবাহিক কর্মসূচি হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়। দলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি।

তিনি আরো বলেন, এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বাইরে সমাবেশ করবেন। মাসে দুটি করে সম্মেলনে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। করোনার কারণে তিনি এতদিন সশরীরে যেতে পারেননি। তিনি ভার্চুয়ালে সব কাজ সম্পন্ন করেন।

বিএনপি ‘আগুন সন্ত্রাস’ সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা নেই। তাদেও আন্দোলনে বাধা দিতে নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ এখনো অচল। বিএনপি এখনো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বড় পৃষ্ঠপোষক। তবে আগুন সন্ত্রাস করলে জবাব দেওয়া হবে।

জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে? এটা বিএনপির দলের সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলন হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলন করা হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, আলোচনা করে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সময় মিলে গেলে আমরা কী করব : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আগামী জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে নেত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে উপ-কমিটি করা হবে। আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে না। বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন এবং অন্যান্য সম্মেলন নিয়মিত প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সময় মিলে গেলে আমরা কী করব বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি না। আমাদের সম্মেলনের তারিখ আগেই নির্ধারিত। এটা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি সভা ও ধারাবাহিক কর্মসূচি হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়। দলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি।

তিনি আরো বলেন, এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বাইরে সমাবেশ করবেন। মাসে দুটি করে সম্মেলনে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। করোনার কারণে তিনি এতদিন সশরীরে যেতে পারেননি। তিনি ভার্চুয়ালে সব কাজ সম্পন্ন করেন।

বিএনপি ‘আগুন সন্ত্রাস’ সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা নেই। তাদেও আন্দোলনে বাধা দিতে নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ এখনো অচল। বিএনপি এখনো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বড় পৃষ্ঠপোষক। তবে আগুন সন্ত্রাস করলে জবাব দেওয়া হবে।

জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে? এটা বিএনপির দলের সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সম্মেলন হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলন করা হবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, আলোচনা করে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।