সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রক্ষক যখন ভক্ষক সাঁথিয়ায় জলাতঙ্ক রোগী শনাক্ত : এলাকায় জলাতঙ্ক আতঙ্ক বেড়া পাম্পিং ষ্টেশন-বাঘাবাড়ি সড়ক পুনঃনির্মাণে আড়াই যুগের দুর্ভোগ লাঘব আদিতমারীতে গাইনি ও শিশুবান্ধব ওয়ার্ডের উদ্বোধন বেড়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু আকাঙ্খার মৃত্যুতে রহস্যজনক পোস্ট অভিনেত্রী কাজলের যমুনায় ওপর এগিয়ে চলেছে রেলওয়ে সেতুর কাজ ভালো কাজের নাগরিক অনুশীলন, স্বীকৃতি দিবে জেলা প্রশাসন দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইতালি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না- প্রধানমন্ত্রী গলাচিপায় শিশু ছবি ঘরে স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাকিবের মামলা আবারও ঢাকাই সিনেমায় আসছেন মিঠুন তাড়াশে ভুট্টার বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা

আওয়ামী লীগ মনে করে তারা জমিদার, আমরা প্রজা : ফখরুল

আওয়ামী লীগ মনে করে তারা জমিদার, আমরা প্রজা : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে দেশটা তাদের তালুকদারি, এটা তাদের জমিদারি। এটার মালিক তারা। আর আমরা হচ্ছি সমস্ত প্রজা। এভাবে তারা দেশ চালাতে চায়।

সোমবার (৬ মার্চ) এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

তিনি বলেন, জমিদারি শাসন এবার দেশের মানুষ আর হতে দেবে না। মানুষ রাস্তায় নেমেছে এবং রাস্তায় নেমে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে নিশ্চয়ই অতিদ্রুত আমরা এই যে একটা দানব আমাদের বুকের ওপরে বসে আছে সেই দানবকে সরাব।

তিনি বলেন, জমিদারি শাসন এবার দেশের মানুষ আর হতে দেবে না। মানুষ রাস্তায় নেমেছে এবং রাস্তায় নেমে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে নিশ্চয়ই অতিদ্রুত আমরা এই যে একটা দানব আমাদের বুকের ওপরে বসে আছে সেই দানবকে সরাব।

১/১১ এর সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদ সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান আঠারো মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন চলে যান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যে উত্তাল সমুদ্রের মধ্য দিয়ে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে তা ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে। আসুন আজকে আমরা তারেক রহমান সাহেবের কারাবন্দি দিবসে সবাই শপথ নিই-তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। যেদিন আসবেন সেদিন সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ উত্তাল তরঙ্গের মতো সুনামিতে এ সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের জনগণ সেই অবস্থা তৈরি করবে যে অবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি দেশে ফিরে আসবেন।

তিনি বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই- কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন একটি নির্বাচন কমিশনের গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হবে যে নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই সময়ে তারেক রহমান দেশে এসে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে এবং বাংলাদেশকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে।

তারেকের নেতৃত্বে প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান একজন অসাধারণ মেধাবী একজন নেতা। তিনি আজ থেকে নয়, যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন সেই সময়ে প্রমাণ করেছেন তার অসাধারণ দক্ষতা, অসাধারণ দূরদৃষ্টি এবং জনগণকে সংগঠিত করবার তার একটা অসাধারণ যোগ্যতা।

তারেক রহমান সাহেবের যোগ্যতাটা কোথায়? তিনি বিএনপিকে একটা সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এসেছেন, একটা ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছেন যে ব্যবস্থায় পার্টি অ্যাকটিভ হয়েছে, গোটা দল এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যেখানে আগে আমাদের বিভিন্ন সংগঠনগুলো ও তার ইউনিটগুলো সেভাবে কাজ করতে পারছিল না, আজকে তারা সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। আজকে দেখুন প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম, যতগুলো প্রোগ্রাম দেওয়া হচ্ছে সবগুলো প্রোগ্রামে জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাদের প্রতীক। কিসের প্রতীক? স্বাধীনতার প্রতীক, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, আমাদের উন্নত জীবনযাত্রার প্রতীক। তিনি যে ১০ দফা দিয়েছেন সেটাতে দেখবেন জনগনের দাবির সব আছে।

অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফখরুল বলেন, সেদিন তারেক রহমানের গ্রেপ্তারটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এই গ্রেপ্তার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গ্রেপ্তার করা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে গ্রেপ্তার করা, বাংলাদেশের মানুষের বিকশিত হওয়ার, তাদের যে নিজেদের তৈরি করবার, অর্থনৈতিক-সমৃদ্ধি সৃষ্টি করবার যে ভিশন ছিলো সেটাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই, আপনারা এই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হবেন না। একটি দেশের সব মানুষ যার দিকে তাকিয়ে আছে, যারা আজকে পরিবর্তন চায়, যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যারা এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনতে চায় তাদের নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আপনারা কখনোই টিকে থাকতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা সেই (১/১১) ষড়যন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বরঞ্চ তারা সেই ষড়যন্ত্রের বড় অংশীদার। আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আওয়ামী লীগ সব সময়ই বাংলাদেশের স্বাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আওয়ামী লীগ সব সময়ই জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭৫ সালে যখন আওয়ামী লীগ মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে সংসদে গণতন্ত্রকে ধবংস করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেদিন থেকেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করবার, তার জাতীয়তাবাদীকে বিনষ্ট করবার সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ১৯৮১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয় সেটা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ফসল। একইভাবে ১/১১-তে সামরিক বাহিনীর সমর্থনে একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করল সেই সময়ের ফখরুদ্দিন (ফখরুদ্দিন আহমেদ) শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখানে যোগ দিয়ে আজকে আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থন দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচুর ক্যাম্পেইন হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সেই অপপ্রচারের মূল্যটা কী? লক্ষ্যটা হচ্ছে তারেক রহমানকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো, তার নেতৃত্বে যোগ্যতা নাই এক ধরনের একটা কথা প্রচার করতে চায়। এই প্রচারের সঙ্গে কারা যুক্ত হয়েছে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যারা বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারাই এই প্রচারগুলোর সঙ্গে জড়িত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কুৎসা যতই রচনা করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে- কোনোটাই লাভ হবে না। মামলা করেও লাভ হবে না। ৪০ লাখ মানুষের্ বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে তাতে কি বিএনপিকে ঠেকাতে পেরেছে? ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে তাতে কি ঠেকাতে পেরেছে? কোনো কিছুই ঠেকাতে পারবে না।

উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *