ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অষ্টগ্রামে মাসে ৩ থেকে ৪ দিন স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার

হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসার অভিযোগ উঠেছে কাস্তুল এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উদ্দিন খাঁনের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের স্থানদাতা ও তৎকালীন সভাপতি সেলিম আহমেদ ভূঁইয়ার শ্যালক হওয়ার সুবাদে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নেই তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।

কিন্তু নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বছরের পর বছর তিনি নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জেই অবস্থান করে আসছেন। মাসে ৩/৪ দিন বিদ্যালয়ে আসলেও প্রয়োজনীয় কাজ শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আবার কিশোরগঞ্জ চলে যান। তার অবর্তমানে প্রতিদিন দুপুরের পর বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকগণ কেউ ব্যবসা আবার কেউ টিউশনী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সামগ্রী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগও রয়েছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সহ বেশ কয়েকদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, হেডস্যার কখনই নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেননা। তিনি কোন ক্লাসও নেননা। মাসে হাতেগুনা কয়েকদিন বিদ্যালয়ে আসলেও ঘন্টা খানেক অবস্থান করে আবার চলে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকগণ জানান, প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে এই অনিয়মের মধ্যেই বিদ্যালয়টি চলছে বছরের পর বছর ধরে। ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উদ্দিন খাঁন এ প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যালয়ে আমার তেমন কোন কাজ থাকেনা। কিশোরগঞ্জে আমার অফিসিয়াল কাজ থাকে, তাই আমি কিশোরগঞ্জেই অবস্থান করি। প্রতিদিন দুপুরের পর বিদ্যালয় ছুটি ও টিউশনী করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষকগণ যে বেতন পান এতে তাদের সংসার চলেনা। তাই দুপুরে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে তারা টিউশনী করেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূরে আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলশাদ জাহান এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা মিটিং করে সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষককে তাদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও তিনি দায়িত্বে অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাখ//আর

নিউজটি শেয়ার করুন

অষ্টগ্রামে মাসে ৩ থেকে ৪ দিন স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার

আপডেট সময় : ০৭:২৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসার অভিযোগ উঠেছে কাস্তুল এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উদ্দিন খাঁনের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের স্থানদাতা ও তৎকালীন সভাপতি সেলিম আহমেদ ভূঁইয়ার শ্যালক হওয়ার সুবাদে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নেই তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।

কিন্তু নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বছরের পর বছর তিনি নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জেই অবস্থান করে আসছেন। মাসে ৩/৪ দিন বিদ্যালয়ে আসলেও প্রয়োজনীয় কাজ শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আবার কিশোরগঞ্জ চলে যান। তার অবর্তমানে প্রতিদিন দুপুরের পর বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। এরপর শিক্ষকগণ কেউ ব্যবসা আবার কেউ টিউশনী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সামগ্রী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগও রয়েছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সহ বেশ কয়েকদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, হেডস্যার কখনই নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেননা। তিনি কোন ক্লাসও নেননা। মাসে হাতেগুনা কয়েকদিন বিদ্যালয়ে আসলেও ঘন্টা খানেক অবস্থান করে আবার চলে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকগণ জানান, প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে এই অনিয়মের মধ্যেই বিদ্যালয়টি চলছে বছরের পর বছর ধরে। ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। ছাত্র-ছাত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উদ্দিন খাঁন এ প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যালয়ে আমার তেমন কোন কাজ থাকেনা। কিশোরগঞ্জে আমার অফিসিয়াল কাজ থাকে, তাই আমি কিশোরগঞ্জেই অবস্থান করি। প্রতিদিন দুপুরের পর বিদ্যালয় ছুটি ও টিউশনী করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষকগণ যে বেতন পান এতে তাদের সংসার চলেনা। তাই দুপুরে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে তারা টিউশনী করেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূরে আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলশাদ জাহান এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা মিটিং করে সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষককে তাদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও তিনি দায়িত্বে অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বাখ//আর