ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস সহিংসতা মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরে সফিপুরের আনসার একাডেমিতে বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রাম থেকে শহরে জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় বাহিনীটির অবদান আজ প্রশংসনীয় ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। এ ছাড়া বিএনপির জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আনসার বাহিনী কাজ করেছে।

তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের পর গার্ড অব অনার দিয়েছিল আনসার বাহিনীর সদস্যরা। অনেক আনসার সদস্যই স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের কল্যাণে নানানভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই বাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে আনসার বাহিনী চলতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বাহিনীকেই সহায়তা দিচ্ছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। অনেক আনসার সদস্যই স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের কল্যাণে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কাজেই কোন বাহিনীর কী প্রয়োজন, সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। সেটা উপলব্ধি করতে পারি বলেই আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে কাজ করা হচ্ছে। আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করোনা অর্থনীতির ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করেছে। তার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এ যুদ্ধের কারণে শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আমাদের এখান থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য আমি আহ্বান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যত অনাবাদি জমি আছে সবগুলো আবাদ করতে হবে। এজন্য আনসারদের ভূমিকা রাখতে হবে। গ্রামের মানুষদের কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনী এখন আধুনিক ও মডেল ব্যাটালিয়নে রূপ পেয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আনসার বাহিনীর উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা আনসার বাহিনীর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন, ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, পোশাক, কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৮ সালে আনসার বাহিনীকে জাতীয় পতাকা দিয়েছি। নানা সুযোগ-সুবিধা ও চাকরি স্থায়ী করেছি। আনসার বাহিনীর পদোন্নয়ন ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ বাহিনীকে তাদের আধুনিকীকরণ করে মডেল ব্যাটালিয়নে রূপ দেওয়া হয়েছে।

আনসার সদস্যরা মাসিক যে ভাতা পান, তা বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ২৭টি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন অফিস ও আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গরিব আনসার সদস্যদের জন্যও নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই আনসারদের জন্য সব কিছু করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এই দেশ ইনশাআল্লাহ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে এটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। আমাদের দেশে মেট্রো রেল চালু হয়েছে, পাতাল রেল চালু হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে আমরা করেছি।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এই দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা চাই এদেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, পরের কাছে যেন হাত পেতে চলতে না হয়।

উৎপাদন বাড়াতে আনসার সদস্যদের ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের আনসার ভিডিপি সদস্যরা গ্রামপর্যায়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন। গ্রামের লোকদের শেখানো, ফসল উৎপাদনে, সংরক্ষণে বিরাট অবদান আপনারা রাখতে পারেন।

চলমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গ্রামের মানুষকে পরামর্শ দিতে এই বাহিনীকে ভূমিকা রাখারও তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ৮ ক্যাটাগরিতে বাহিনীর ১৮০ জনকে সাহসিকতা ও সেবা পদক দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয় : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস সহিংসতা মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরে সফিপুরের আনসার একাডেমিতে বাহিনীর ৪৩তম জাতীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রাম থেকে শহরে জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় বাহিনীটির অবদান আজ প্রশংসনীয় ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। এ ছাড়া বিএনপির জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আনসার বাহিনী কাজ করেছে।

তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের পর গার্ড অব অনার দিয়েছিল আনসার বাহিনীর সদস্যরা। অনেক আনসার সদস্যই স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের কল্যাণে নানানভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই বাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে আনসার বাহিনী চলতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বাহিনীকেই সহায়তা দিচ্ছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। অনেক আনসার সদস্যই স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের কল্যাণে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কাজেই কোন বাহিনীর কী প্রয়োজন, সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি। সেটা উপলব্ধি করতে পারি বলেই আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে কাজ করা হচ্ছে। আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করোনা অর্থনীতির ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করেছে। তার সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এ যুদ্ধের কারণে শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আমাদের এখান থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য আমি আহ্বান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যত অনাবাদি জমি আছে সবগুলো আবাদ করতে হবে। এজন্য আনসারদের ভূমিকা রাখতে হবে। গ্রামের মানুষদের কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনী এখন আধুনিক ও মডেল ব্যাটালিয়নে রূপ পেয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আনসার বাহিনীর উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা আনসার বাহিনীর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন, ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, পোশাক, কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৮ সালে আনসার বাহিনীকে জাতীয় পতাকা দিয়েছি। নানা সুযোগ-সুবিধা ও চাকরি স্থায়ী করেছি। আনসার বাহিনীর পদোন্নয়ন ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ বাহিনীকে তাদের আধুনিকীকরণ করে মডেল ব্যাটালিয়নে রূপ দেওয়া হয়েছে।

আনসার সদস্যরা মাসিক যে ভাতা পান, তা বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ২৭টি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন অফিস ও আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গরিব আনসার সদস্যদের জন্যও নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই আনসারদের জন্য সব কিছু করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এই দেশ ইনশাআল্লাহ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে এটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। আমাদের দেশে মেট্রো রেল চালু হয়েছে, পাতাল রেল চালু হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে আমরা করেছি।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এই দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা চাই এদেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, পরের কাছে যেন হাত পেতে চলতে না হয়।

উৎপাদন বাড়াতে আনসার সদস্যদের ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের আনসার ভিডিপি সদস্যরা গ্রামপর্যায়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন। গ্রামের লোকদের শেখানো, ফসল উৎপাদনে, সংরক্ষণে বিরাট অবদান আপনারা রাখতে পারেন।

চলমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গ্রামের মানুষকে পরামর্শ দিতে এই বাহিনীকে ভূমিকা রাখারও তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ৮ ক্যাটাগরিতে বাহিনীর ১৮০ জনকে সাহসিকতা ও সেবা পদক দেন।